You have reached the main content

অন্তরীণ অভিবাসীর আত্মহত্যা বিষয়ে দ্রুত তদন্ত

On August 24, 2012

কুয়েতে হেফাজতে থাকা ইন্দোনেশীয় গৃহপরিচারিকার আত্মহত্যা তাঁর অন্তরীণের অবস্থা সম্পর্কে প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। ঐ পরিচারিকা গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করেন, তাঁর গলার দাগ প্রমান করে যে  তাঁর বিষয়টি অনেক দিন ধরেই অগোচরে ছিল। মামলাটির বর্তমান অবস্থা বিরোধপূর্ণ; এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে নিরাপত্তা কর্মকর্তারা মেয়েটিকে রক্ষার চেষ্টা করেছে অন্যদিকে আরেকটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে এ ঘটনায় অবহেলার অভিযোগ উঠেছে

যদিও এখন পর্যন্ত নারীদের এ মামলাগুলোর অবস্থা সম্পর্কে জানা যায়নি কিন্তু হেফাজতে থাকা অভিবাসীদের আত্মহত্যা থেকে গালফের আইনী ব্যবস্থায় যে ধরণের  সার্বিক সমস্যা গুলোর মুখোমুখি তাঁদের হতে হয় তা হল, বিদেশী ভাষায় পরিচালিত একটি ব্যবস্থার ভাষা সংক্রান্ত জটিলতা ও বক্তব্যের সঠিক উপস্থাপনা নিশ্চিতকরণ, অথবা অন্যান্য আইনী সহায়তা- এগুলো  অন্তরীণ অভিবাসী শ্রমিকদের অভিবাসন সংক্রান্ত সমস্যা উপশমের ক্ষেত্রে অবৈধ প্রতিকারের পথকে প্রশস্ত করে সমস্যাকে আরও জটিল করে তোলে। অনেক ক্ষেত্রে এ জটিল উপকরণগুলো ব্যক্তিবিশেষের জন্য আত্মহত্যার কারন হয়ে দাঁড়ায়, আটক থাকার পুঞ্জীভুত অসহায়ত্ব কারো কারো জন্য বিষয়টিকে সেদিকেই পরিচালিত করে।

যদিও পূর্ণাঙ্গ তদন্ত ব্যতীত তাঁর মৃত্যুর পরিস্থিতি কেবল কল্পনা নির্ভর তারপরেও বলা যায় যে তাঁর গ্রেফতারের  প্রকৃতি নির্দোষ; সে তাঁর স্পন্সরের নিকট থেকে পালিয়ে আসার কারণে কারাবন্দী হয়েছিল- তাঁর এ অপরাধ কুয়েতী বিচার ব্যবস্থার অসাম্যকেই প্রতিফলিত করে।