You have reached the main content

সৌদী আরবে বাসরত শ্রীলংকান গৃহপরিচারিকাদের দেশে ফেরার আবেদন

On August 21, 2012

দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার শাতাধিক নারী অভিবাসী শ্রমিক সৌদী আরবের রিয়াদের ওলায়া ডিটেনশন ক্যাম্পে আটক আছে। তাঁদের একমাত্র অপরাধ হল তাঁরা তাঁদের নির্যাতনকারী প্রাক্তন মালিকদের নিকট থেকে পালিয়ে এসেছেন।

একজন আটক ব্যক্তির সাথে বিবিসি প্রদায়কের টেলিফোনে সাক্ষাতকার প্রদানের সময় অন্যরা উচ্চস্বরে হৈচৈ করে  তাঁদের নিজেদের দেশে প্রত্যাবর্তনের জন্য সাহায্য প্রার্থনা করেন ( মূল প্রতিবেদন পড়ুন এখানে)।

প্রতি বছর হাজারও শ্রীলংকান নারী সুনির্দিষ্ট ভাবে মধ্য প্রাচ্যে কাজের সন্ধানে  এবং  কখনও কখনও গৃহপরিচারিকা হিসেবে অভিবাসিত হয়। আয় হিসেবে তাঁরা যে অর্থ পায় সেটা তাঁরা তাঁদের পরিবার ও স্বজনদের নিকট প্রেরণ করে। এ অর্থ তাঁদের দেশের প্রধান বৈদেশিক আয়ের উৎস।

যদিও অনেক সময় যে  অর্থনৈতিক নিরাপত্তার আশা নিয়ে  তাঁরা আসে তা পূরণ হয় না এবং ঘন ঘনই তাঁদের জীবন নির্যাতনকারী মালিক দ্বারা বিপদগ্রস্ত হয়। শারীরিক ও মানসিক সহিংসতা, আটক রাখা, দাসত্ব এ সব কিছুই তাঁদের জন্য খুবই সাধারণ ঘটনা। সর্বজন বিদিত ঘটনা হল ২০১০ সালের আগস্ট মাসে একজন শ্রীলংকান গৃহ পরিচারিকা তাঁর সৌদী  মালিকের কাছ থেকে পালিয়ে আসেন। ঐ পরিচারিকার শরীরে প্রায় ২৪ টি পেরেক গাঁথা ছিল

উভয়সংকটাপন্ন অবস্থায়  এই সব শ্রমিকদের তাঁদের মালিক ও বৈধ “স্পন্সর” থেকে ছাড়া পেয়ে বৈধ অভিবাসী হওয়ার সুযোগ সৌদি আইনে প্রায় অসম্ভব। এ ছাড়া তাঁদের নিজের দেশে প্রত্যাবর্তনের উদ্যোগ আমলাতান্ত্রিক প্যাচে পরে কিংবা  তাঁদের নিজের দেশের দূতাবাসের সময়োচিত পদক্ষেপের অভাবে। সৌদি কতৃপক্ষ এ বিষয়টিকে ক্রমবর্ধমান বিপদজনক পরিস্থিতি বলে আখ্যা দিয়েছেন।

১৫ বছরের অনৈচ্ছিক ক্রীতদাসত্বের হাত থেকেকুসুমা নান্দানি  ২০০৯ সাল থেকে ওলায়াতে ছিলেন। যদিও কিছুদিন আগে তাঁকে বহির্গমন ভিসা প্রদান করা হয় তারপরেও তিনি তাঁর জন্মভূমি শ্রীলংকায় ফেরত যেতে পারেন নি। বিবিসি কে তিনি বলেন, “ শ্রীলংকায় আমার কেউ নেই, আমার বাবা-মা মারা গেছেন, স্বামী আমাকে তালাক দেওয়ার চেষ্টা করছেন, আমার কেবল একটা মেয়ে আছে সে জানে না কাকে কিভাবে বলতে হবে।”

রিয়াদে অবস্থিত শ্রীলংকান দূতাবাসের শ্রমিক কর্মকর্তা দাবি করেন যে ওলায়াতে অন্তরীণদের ফাইল কলোম্বোর শ্রীলংকা বৈদেশিক নিয়োগ ব্যুরোতে প্রেরণ করা হয়েছে। তাঁদের সাথে পরবর্তী তথ্যের জন্য যোগাযোগের উদ্যোগ ব্যর্থ হয়েছে।

বর্তমান ও প্রাক্তন  গৃহ পরিচারিকাদের দিনের পর দিন অবস্থা  খারাপ হওয়ার বেপরোয়া অবস্থা প্রতিহত করতে হলে  শ্রীলংকা অথবা সৌদি আরব কতৃপক্ষের সংস্কার দ্রুত করা উচিত।