You have reached the main content

সৌদি আরব কি স্পন্সরশীপ প্রথা বাতিল করবে?

On September 11, 2013

অভিবাসী বিষয়ক প্রবক্তা এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলো দীর্ঘদিন ধরে উত্তরাধিকারসুত্রে অর্জিত শোষণমূলক স্পন্সরশীপ (কাফালা) ব্যবস্থার নিন্দা করে, আসছে যা মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলো জুড়ে নিয়োগকর্তা-কর্মচারী সম্পর্ক নির্ধারণ করে থাকে। যদিও ভিন্ন ভিন্ন রাষ্ট্রে এই ব্যবস্থার বর্তমান স্বরূপ খানিকটা ভিন্ন, তবে এর কাঠামো এবং কার্যকারিতা সব দেশে প্রায় একই রকম হয়ে থাকে। এই ব্যবস্থায় অভিবাসী শ্রমিকেরা তাদের নিয়োগকর্তার সাথে এমন এক বন্ধনে আবদ্ধ থাকে, যা মোটেও ন্যায়সঙ্গত নয়। কারন এর মাধ্যমে নিয়োগকর্তার বেশীরভাগই তার কর্মীদের ভ্রমণের ক্ষমতা, বৈধ বাসস্থান এবং তাদের বিকল্প কর্মসংস্থানের সম্ভাবনাগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। ব্যবস্থাটি অভিবাসী অধিকার-এর ধারণা এবং এমনকি বিশেষ করে শ্রমের অধিকার ও সমতার মূল মানদণ্ডের বিরুদ্ধে।

সৌদি আরবের সাম্প্রতিক স্পন্সরশীপ প্রথা নিয়ে চিন্তা ভাবনা বিবেচনা করে অবশ্যম্ভাবী এবং সূক্ষ্ম সতর্কতা সত্বেও, একটি আশার সৃষ্টি হয়েছে। সৌদি আরব এমন এক রাষ্ট্র, অভিবাসী অধিকারের ক্ষেত্রে যার প্রচণ্ড বদনাম রয়েছে। সেই সৌদি আরব যখন ঘোষণা করেছে যে স্পন্সরশীপ নামক ব্যবস্থাটি শ্রম মন্ত্রণালয়ের পর্যালোচনাধীন, তা খানিকটা আশা তৈরি হবার যথেষ্ট কারণ সৃষ্টি করেছে। এই মন্ত্রণালয় কাফালা ব্যবস্থা বাতিল করা বিষয়ক পাঁচ বছর মেয়াদি একটি গবেষণার পরামর্শ গ্রহণ করেছে। গবেষণায়, কাফালার বদলে প্রাতিষ্ঠানিক নিয়োগকারী কোম্পানিগুলোর সম্ভাবনা ও কার্যকারিতা পরীক্ষা করে দেখেছে। রিয়াদ ভিত্তিক একটি কমিশন এই নতুন নেটওয়ার্ক নিয়ন্ত্রণ করবে এবং স্পন্সরশীপ ব্যবস্থায় কর্মকর্তা কেন্দ্রিক অধিকাংশ যে সব বিষয় রয়েছে, তারা তা অপসারণ করবে, যার মধ্যে যুক্ত রয়েছে নিয়োগ কর্তার কর্মচারীর পাসপোর্ট আটকে রাখার ক্ষমতা, অথবা শ্রমিকদের পরিবারকে সৌদিতে বসবাসে অস্বীকার করার মত বিষয়সমূহ। গবেষণায় রাখা প্রস্তাবনা সম্পর্কে বিস্তারিত পাওয়া যাবে এখানে

তবে যাই হোক, এই বিষয়টি উল্লেখনীয়, যে ব্যবস্থাই গ্রহণ করা হোক না কেন, উভয় রাষ্ট্রের এই বিষয়টি নিশ্চিত করা প্রয়োজন, যেন নিয়োগকারী এবং কর্মচারীর উভয়ের প্রতি ন্যায়সম্মত আচরণ করা হয়। এমনকি স্পন্সরশীপ কার্যকর হবার আগে, বর্তমান নিয়োগ প্রদানকারী সংস্থাগুলোর শোষণমূলক আচরণ, অভিবাসীদের প্রতি যে অন্যায় করা হয়, তার বর্ণনা প্রদান করে। অধিকন্তু, সামাজিকভাবে প্রান্তিক করে ফেলা এই অভিবাসীদের অবস্থানের অবনতির ফলে তাদের রাষ্ট্র ও সুশীল সমাজের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেয়া হয়। অভিবাসীদের সামাজিক পরিকল্পনাগুলো তাদের আইনগত পরিচয়ে সম্পূর্ণ স্বাধীন নয়, কিন্তু এগুলো অভিবাসীদের নিজস্ব অধিকারের জন্য তৈরী করা আচরণকে প্রভাবিত করে ।

অভিবাসী প্রেরণ এবং গ্রহণকারী উভয় রাষ্ট্র নিয়মিতভাবে সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করে যা আইনে পরিণত হতে ব্যর্থ হয়, তবে আমরা আশা করতে পারি যে গবেষণায় টানা উপসংহার সৌদি সরকার কর্তৃক স্বীকৃত হবে এবং এই রাষ্ট্রে কিছু পরিবর্তন সাধিত হবে। এবং যদি স্পন্সরশীপ ব্যবস্থার বিকল্প পদ্ধতি সফল হয়, তাহলে অন্যান্য রাষ্ট্রসমূহ হয়ত শীঘ্রই এই পন্থা অনুসরণ করতে পারে।

প্রবন্ধটি এখানে পাঠ করুন ইংরেজীতে

This post is a translation from this article in English (Will Saudi Arabia Abolish The Sponsorsip -Kafala System) from the “Migrants Rights” Website

Translated into Bangla by Bijoy.